
ঐতিহাসিক এই শাস্তিগুলোর কথা শুনলে মৃত্যুও শিউরে উঠবে!
বর্তমানে আইনকানুন অনেক নমনীয় হয়েছে। ঐতিহাসিক যুগের কিছু শাস্তির কথা শুনলে আপনারা অবাক হয়ে যাবেন। এগুলো এতো বেশী আমানবিক ও হিংস্র ছিল যে অপরাধীরা অপরাধ করার আগে ২ বার চিন্তা করতো। আমরা চিন্তা করে অবাক হয়ে যায় তখন মানুষের মনে শাস্তির এতো ঘৃণ্য ও হিংস্র ধারণাগুলো কেমনে আসতো। আপনি যদি মনে করেন বর্তমানে ফাঁসি দেওয়া অমানবিক তবে চলুন জেনে আসি ঐতিহাসিক কিছু শাস্তির কথা যার ছবি দেখে ও বর্ণনা শুনে আপনার পিলে চমকে যাবে।
দা কফিন ট্র্যাপ।
দা কফিন ট্র্যাপ।
অপরাধীদের প্রায়ই একটি ছোট লোহার কফিনের ভিতরে জ্যান্ত ভরে রাখা হতো। অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী কফিনের আকার ছোটবড় হতো। কি নির্মম।
দা ব্রেযেন বুল।
দা ব্রেযেন বুল।
এই ধাতব নির্মিত ও নিরেট ষাঁড়ের ভেতরে অপরাধীদের ভরে রাখা হতো এবং ষাঁড়ের নিচে তাপ নিয়ে অপরাধীদের মেরে ফেলে হতো।
দা র্যাক।
দা র্যা ক।
অপরাধীদের এটির উপর বাঁধা হতো এবং শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিচ্ছিন্ন না হওয়া পর্যন্ত উপরনিচ থেকে টানা হতো।
দা স্প্যানিশ ডাঙ্কি।
দা স্প্যানিশ ডাঙ্কি।
অপরাধীদের এই ধারালো কাঠের টুকরার উপর বসিয়ে দেওয়া হতো এবং পায়ের সাথে ভারী পাথর বেঁধে দেওয়া হতো। ফলে ধীরে ধীরে অপরাধীদের শরীর দ্বিখণ্ডিত হয়ে যেতো।
ব্যাম্বু টরচার।
ব্যাম্বু টরচার।
এশিয়ান দেশগুলোতে এটি বেশী হতো। অপরাধীদের উলঙ্গ করে বাঁশ বাগানে বেঁধে রাখা হতো। এরপর ধীরে ধীরে শরীরের বিভিন্ন দিকে বাঁশ ঢুকিয়ে দেওয়া হতো!
নি স্প্লিটার।
নি স্প্লিটার।
এটির ভেতর অপরাধীদের হাঁটু ঢুকিয়ে দেওয়া হতো এবং স্ক্রুগুলো ধীরে ধীরে পায়ের ভিতর ঢুকে যেত।
স টরচার।
স টরচার।
ছবি দেখেই সব বুঝতে পারার কথা। অপরাধীদের উল্টো করে ঝুলিয়ে দেওয়া হতো এবং বিশাল করাত দিয়ে তাদের শরীরের মাঝখান দিয়ে কেটে ফেলা হতো।
র্যাট টরচার।
র্যা ট টরচার।
অপরাধীদের তলপেটে একটা খাঁচা রাখা হতো এবং তা ইদুরে পরিপূর্ণ থাকতো। এরপর খাঁচায় তাপ প্রয়োগ করা হতো। ফলে ইঁদুরগুলো পাগল হয়ে যেতো এবং অপরাধীদের পেট ছিঁড়েখুঁড়ে বের হওয়ার চেষ্টা করত। ফলে অপরাধীদের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটতো।
দা হেড ক্রাশার।
দা হেড ক্রাশার।
প্রথমে অপরাধীদের মাথা এই যন্ত্রের ভেতর ঢোকানো হতো, মাথা নিচের খোপে ঢুকিয়ে আস্তে আস্তে নিচের দিকে নামানো হতো। ফলে অপরাধীদের চোখ কোটর থেকে বেরিয়ে আসতো, চোয়াল ভেঙ্গে যেতো এবং পুরো চেহারা ধংস হয়ে যেতো।
চাইনিজ ওয়াটার টরচার।
চাইনিজ ওয়াটার টরচার।
ছবির মত করে অপরাধীদের বেঁধে রাখা হতো এবং একটানা ঠাণ্ডা বা গরম পানি ঢালা হতো। ফলে অপরাধী ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ত।
দা লিড স্প্রিংকলার।
দা লিড স্প্রিংকলার।
স্প্রিংকলার প্রধানত গলিত সীসা, গরম তেল অথবা এসিড দিয়ে পরিপূর্ণ থাকত। এরপর তা অপরাধীদের শরীরে জ্যান্ত অবস্থায় ঢুকিয়ে দেওয়া হতো।
দা জুডাস ক্রাডেল।
দা জুডাস ক্রাডেল।
অপরাধীদের একটি ধাতব পিরামিডের উপর বসিয়ে চারদিক থেকে তাকে দড়ি দিয়ে বাঁধা হতো। এরপর ধীরে ধীরে দড়ি নিচের দিকে নামানো হতো। এরপর কি হতো তা ছবি দেখলেই বুঝতে পারবেন।
দা ব্রেস্ট রিপার।
দা ব্রেস্ট রিপার।
মহিলা অপরাধীদের জন্য এই যন্ত্রটি ব্যবহার করা হতো। এর মাধ্যমে মহিলা অপরাধীদের স্তন ছিঁড়ে ফেলা হতো এবং যন্ত্রটি ব্যবহারের সময় গরম করে ব্যবহার করা হতো।
দা আয়রন মেইডেন।
দা আয়রন মেইডেন।
এটি ছিল একটি ধাতব কফিন যার ভেতরে সব কাঁটা। অপরাধীদের এখানে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দেওয়া হতো।
দা স্কল্ডস ব্রিডেল।
দা স্কল্ডস ব্রিডেল।
এই ধাতব মুখোশটি অপরাধীদের মুখে বাঁধা হতো এবং এর চারপাশে কাঁটা থাকতো। ফলে অপরাধীরা মুখও খুলতে পারতো না।
দা চাইনিজ টরচার চেয়ার।
দা চাইনিজ টরচার চেয়ার।
এই চেয়ারটির সমস্ত পৃষ্ঠের উপর ধারালো কাঁটা এবং ব্লেড দিয়ে সংযুক্ত করা থাকত। এটি সবচেয়ে ভয়ঙ্কর শাস্তির মধ্যে একটি।
বন্য প্রানী দ্বারা ধর্ষণের মাধ্যমে মৃত্যুদন্ড।
বন্য প্রানী দ্বারা ধর্ষণের মাধ্যমে মৃত্যুদন্ড।
রোমান সাম্রাজ্যে নারী অপরাধীিদের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত বন্য প্রানী দ্বারা ধর্ষণ করানো হতো!
দা টাব।
দা টাব।
প্রথমে অপরাধীদের একটি টাবের মধ্যে বসানো হতো এবং সারা শরীরে দুধ এবং মধু মাখানো হতো। ফলে মাছি তাদের দিকে আকর্ষিত হতো। এরপর অপরাধীকে একটানা খাওয়ানো হত এবং সেখানেই তারা মল ত্যাগ করতে বাধ্য হত। এরপর শূককীটগুলো অপরাধীকে জীবন্ত অবস্থায় খেয়ে ফেলতো।
গিলোটিন।
গিলোটিন।
এটি দ্রুততম এবং সর্বাধিক মানবিক শাস্তি বলে মনে করা হয়। কারণ এর অত্যন্ত ধারালো ব্লেডের কারণে এক সেকেন্ডের ব্যবধানে অপরাধীদের মাথা ধড় থেকে আলাদা হয়ে যেতো।
ক্রোকোডাইল শিয়ারস।
ক্রোকোডাইল শিয়ারস।
প্রথমে এটি গরম করা হতো এবং তারপর এটি দিয়ে অপরাধীদের শরীর বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হতো।
প্রথমে ঝুলানো, তারপর ডোবানো এবং শেষে শরীর চার ভাগ করে ফেলা।
প্রথমে ঝুলানো, তারপর ডোবানো এবং শেষে শরীর চার ভাগ করে ফেলা।
প্রথমে অপরাধীকে একটি কাঠের টুকরায় শোয়ানো হতো, কিছুক্ষণ ঝোলানো হতো এবং তারপর শরীরের চারকোণায় চারটি দড়ি বাঁধা হতো। সেই দড়িগুলো ৪টি ঘোড়ার সাথে সংযুক্ত থাকতো। এরপর ৪ দিকে ৪টি ঘোড়া ছুটতো এবং অপরাধীর শরীর ৪ ভাগে ভাগ হয়ে যেত।
রিপাব্লিকান ম্যারেজ।
রিপাব্লিকান ম্যারেজ।
সন্ন্যাসী এবং পুরোহিতদের জনগণের সামনে উলঙ্গ করে এই শাস্তি দেওয়া হতো। তাদের উলঙ্গ করে বরফ ঠাণ্ডা পানিতে চোবানো হতো।
ক্রুশকাঠে বিদ্ধ করে হত্যা।
ক্রুশকাঠে বিদ্ধ করে হত্যা।
এটি একটি ধীরগতির ও বেদনাদায়ক মৃত্যু যেখানে অপরাধীকে কাঠের ক্রুশে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত পেরেক দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হতো।
হেরেটিক্স ফর্ক্স।
হেরেটিক্স ফর্ক্স।
অপরাধীদের জন্য এই যন্ত্রটি তৈরি করা যা ধাতু দিয়ে তৈরি এবং যার উভয় প্রান্তে দুটি ধারালো কাঁটাচামচ থাকে।অপরাধীদের গলায় একটি প্রান্ত থাকত এবং আরেক প্রান্ত থাকতো চোয়ালে।
শাস্তিগুলোর বিবরণ শুনলেই শিউরে উঠতে হয় কারণ এগুলো এতো বেশী ভয়ঙ্কর। আপনাদের কাছে কোনটি সবচেয়ে বেশী ভয়ানক ও হিংস্র লেগেছে আমাদের জানান।
আমাদের আয়োজন ভালো লাগলে লাইক, কমেন্ট, শেয়ারের মাধ্যমে আমাদের সাথেই থাকুন। আমাদের পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।